পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর
কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচারই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিল্ক ফিডিং কর্মসূচির আওতায় স্কুল শিক্ষক, বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও অভিভাবকদের নিয়ে ‘পুষ্টি ও পরিবেশ সচেতনতা” বিষয়ক ০১ (এক) দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পাঁচারই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং কেশবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ‘পুষ্টি ও পরিবেশ সচেতনতা” বিষয়ক সভাপতি এম,এম,আরাফাত হোসেন-এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রাণী সম্পদ অফিসার এবং উপজেলা ‘পুষ্টি ও পরিবেশ সচেতনতা” বিষয়ক সচিব ডাঃ অলোকেশ কুমার সরকার-এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস, প্রভাষক মছিহুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব, সহকারী শিক্ষা অফিসার আনিছুর রহমান, পাঁচারই টিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব প্রমূখ।
বক্তারা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মতিউর রহমান এ কর্মসূচির সহযোগিতা করেছেন। নিজ এলাকায় বুড়িভদ্রা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে এই বিদ্যালয়টি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ যুগ্ম-সচিব মতিউর রহমানসহ এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাদের সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব বলেন, সারা বাংলাদেশে ৩০০ টি বিদ্যালয়ে ‘পুষ্টি ও পরিবেশ সচেতনতা” কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় স্কুলের সংখ্যা ১৫৮ টি। তারমধ্যে পাঁচারই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এই কর্মসূচীর আওতায়। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রতিদিন ২০০ মিলি দুধ পাবে। এতে তাদের দেহে পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, ফলে মেধার বিকাশ ঘটবে। শিশুরা এই দুধ পেয়ে ও খেয়ে খুব খুশি প্রকাশ করেছে।
এসময় এস,এম,সি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, বিদ্যোৎসায়ী সদস্য আসাদুজ্জামান ও নাজমুন্নাহার, তুষার কান্তি, রেজাউল ইসলাম, ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন গোলদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব বিশ্বাস শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধি ইসমতারা খানম, তানিয়া খাতুন, সোহলী খাতুনসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের একটি ব্যাগ, ডাইরি, ফাইল ও ৫০০ টাকা করে টাকা দেওয়া হয়। শেষে উপস্তিত সকলকে লাঞ্জের ব্যবস্থা করা হয়।
Leave a Reply