পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর
কেশবপুরের চাষিরা পাট কেটে বিপাকে, পানির অভাবে জাঁক দিতে না পেরে রোদে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল সোনালি আঁশ পাট। দক্ষিণ যশোরের কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলার মাঠের পর মাঠ পাট চাষ করেছেন এলাকার কৃষক। কৃষি অফিস সুত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে অনাবৃষ্টি। বিশেষ করে চাষিরা পাট কেটে একই জমিতে আমন ধান রোপণ করবেন, তারা পাট কাটার পর পাট পচানোর জন্য পানির অভাবে মহা বিপাকে আছেন। একদিকে আমনের মৌসুম শেষের পথে আমনের চারা রোপনে মরিয়া, অপর দিকে খাল-বিল কোথাও পানি না থাকায় বহু কৃষকের পাট পচানোর অভাবে কাটা পাট শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, চলতি বছর কেশবপুর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার হেক্টর জমি। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে। যা গতবারের রেকর্ড ভঙ্গ করে। এত কিছুর পরও কৃষকের মুখে হাসি নেই। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে স্থানীয় ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, চাষিদের পরামর্শ দিতে যাতে চাষিরা স্ব-উদ্যোগে পানি সেচ দিয়ে পাট পচানোর উদ্যোগ নেয়। ভাল্লুকঘর গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম জানান, তার দেড় বিঘা জমির পাট কাটার উপযোগী হলেও পানির ব্যবস্থা না থাকায় পাট কাটতে পারছেন না। এ বছর বৃষ্টিপাত গত বছরের তুলনায় একেবারে কম।
Leave a Reply