আবু হুরাইরা রাসেল, কেশবপুর থেকে।।
বর্তমান সরকার যেখানে আইন পাশ করেছে দলিল যার জমি তার। সরকারের এই আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে পূর্বের সেই বর্বর যুগের ন্যায় পছন্দ হইছে তো দখল করে নিই। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যার জের ধরে বাদী ফারজানা আফরিন ঋতুর (২৯) বসতবাড়িতে অবৈধভাবে মালিকানা দাবিতে প্লেট ঝুঁলিয়ে রেখেছেন এ্যাড.রেজাউল করিম (আবু)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়
এ্যাড, রেজাউল করিম (আবু)(৫৭), মোঃ আবু জাফর সাদিক(৪০), মোঃ ফারুকুল ইসলাম (৩৫), আবুল হাসান (৫১), শাহানারা খাতুন (৫৩), সর্ব পিতা- পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম ফারুকী, সাং-বুড়িহাটি, ১১নং হাসানপুর ইউপি থানা-কেশবপুর, জেলা যশোর। উক্ত বিবাদীরা সম্পর্কে বাদীর ভাসুর, দেবর ও ননদ হন। উক্ত বিবাদীদের সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা সেই বসত বাড়ির গেটে অবৈধভাবে (এ্যাড, রেজাউল করিম (আবু) কর্তৃক জমির বায়না পত্র হয়েছে) মর্মে একটি প্লেটি ঝুলিয়ে দেয়। উক্ত বিষয়ে বাদী ফারজানা আফরিন ঋতু বিবাদীদের সাথে কথাবার্তা বলতে গেলে অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রকাশ্যে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেন। বিবাদীরা ইতো পূর্বে বাড়ির পিছনের অংশের জমি নিয়ে ঝামেলা শুরু করলে তাদের নামে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা পুনরায় আবারও তার বসত বাড়ির জমি দখল করার পায়তারা শুরু করেছেন। বিবাদীরা অত্যান্ত দূধর্ষ ও হিংস্র প্রকৃতির মানুষ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে । ঝামেলা করায় তাদের স্বভাব। তারা বিভিন্নভাবে ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। বাদীর স্বামী ডঃ মাহবুব উল্লাহ তিনি জার্মানীতে থাকেন এবং বাদী নরসিংদীতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন।
উক্ত গ্রামের বাড়িটি কোনো ভাড়াটিয়ার নিকটে ভাড়া দিলে বিবাদীরা তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করাসহ হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ী ছাড়তে বাধ্য করে এবং মেন গেটের তালাবদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি বাড়ির মালিক ফারজানা আফরিন ঋতুর জানতে পেরে, নরসিংদী থেকে চলে আসেন কেশবপুরে । তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
বাড়ির মালিক ফারজানা আফরিন ঋতু
মেইন গেটে তালাবদ্ধ দেখে ১১নং হাসানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দ্বারস্থ হন। বিষয়টা শুনে বুঝে চেয়ারম্যান নির্দেশে ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান গ্রাম্য পুলিশে সাথে করে নিয়ে ভুক্তভোগির বাসার ও মেইন গেটের তালা ভাঙার ব্যবস্থা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এ্যাড.রেজাউল করিম (আবু) মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আলম।
Leave a Reply