পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর
” কৈশোরে জুড়েছিল আমাদের এ প্রাণে প্রাণ, রবে’তা আমৃত্যু বন্ধুত্ব অম্লান” “আয় বন্ধুরা ফিরে আায় শৈশব- কৈশোরের ঠিকানায়, আর একটা দিন কাটুক না হয় সব কিছু ভুলে। আয় বন্ধুরা ফিরে আায় সবুজ মাঠের সোনালী ছায়ায় হাসবো আমরা প্রাণ খু্লে।” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি-১৯৭৮ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শণিবার (১ জুলাই-২০২৩) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আগত বন্ধুদের মাথায় ক্যাপ ও গায়ে গেজ্ঞি পরিয়ে দেন অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির বন্ধুরা।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ১৯৭৮ ব্যাচর আলহাজ্জ্ব আবুল হোসেন আজাদ। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারন করেণ, ড. নিখিল চদ্র হালদার, শাহাদাত হােসেন পল্টু, মােঃ ওলিয়ার রহমান, শেখ সাইফুল্লাহ, শেখ কামরুল ইসলাম, ফকির জালাল, নায়েব আব্দুল খালেক, সাধন কুমার নন্দী, বজলুর রহমান, মাষ্টার আব্দুর রশিদ, রফিকুজ্জামান, অশোক অধিকারী, নুরুল ইসলাম প্রমূখ।
এসএসসি ১৯৭৮ ব্যাচর আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক জানান, কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালের তথ্য মতে এস এস সি ব্যাচে মোট ১৫৯ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৩ সাল দীর্ঘ ৪৫ বছর পর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এই ব্যাচর ৫৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এই ব্যাচের ২৬ জন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। প্রয়াত বন্ধুদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে পূণরায় আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এসএসসি ১৯৭৮ ব্যাচর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অবশেষে প্রীতি ভোজের আয়োজনসহ প্রায় ৪৫ বছর পর বন্ধুরা আলিঙ্গনসহ পুরাতন দিনের কথা বলে কিছুটা হলেও মনের ব্যাথা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
Leave a Reply