পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর
কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সার্ধশত মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মধুসূদন স্মরণ সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাগরদাঁড়ি মধুসূদন একাডেমির আয়োজনে, একাডেমির মিউজিয়ামে ও শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটি দু’বাংলার মিলন মেলায় পরিনত হয়।
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। মধুসূদন জীবনীগ্রন্থ, মধুসূদন বিষয়ক সাময়িকী ও স্মারক উপহারের মধ্য দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নিলেন, মধুসূদন একাডেমির উপপরিচালক কবি মকবুল মাহফুজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মধুসূদন একাডেমির পরিচালক, মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ।
মধুসূদন একাডেমির সহ-সভাপতি ডাঃ আবুবকর সিদ্দিক-এর সভাপতিত্বে এবং সাংস্কৃতিক কর্মী কবি উজ্জ্বল ব্যানার্জী-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন।
মুখ্য আলোচক হিসাবে আলোচনা করেণ, বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও কথা সাহিত্যিক হোসেন উদ্দীন হোসেন, অধ্যাপক ডঃ কানাই সেন ও মারুফ হোসেন। তাঁরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
“দেড়শ বছরে মধুসূদন” সম্পর্কে স্মারক বক্তৃতা করেন, ভারতের বিশিষ্ট কবি ও গবেষক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কানাই সেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আপনাদের টানে চলে এসেছি।
স্মারক বক্তৃতার উপর আলোচনা করবেন শহিদ আবুল কাসেম ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক বিভূতিভূষণ মণ্ডল।
আলোচনা করেন, সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক শুভ্র আহমেদ।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যে আলোচিত কথা সাহিত্যিক মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার ২০২২ পেলেন, সমীরণ দাস। এই খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিচিতি পাঠ করবেন মধুসূদন একাডেমির নির্বাহী সদস্য কবি রিয়াজ লিটন। পুরস্কারপ্রাপ্ত সম্মানিত লেখকের হাতে পুরস্কার বাবদ সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানাব এম.এম. আরাফাত হোসেন
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট লেখক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.আবুল ফজল, বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক চঞ্চল শাহরিয়ার।
দ্বিতীয় পর্বে, মধুসূদন একাডেমির সহ-সভাপতি ডাঃ আবুবকর সিদ্দিক-এর সভাপতিত্ব এবং মধুসূদন একাডেমির নির্বাহী সদস্য কবি রিয়াজ লিটনের সঞ্চালনায় স্বরচিত কবিতা আবৃতি করেন, পাঁজিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার পরিচালক কবি বাবুরালী গোলদার, কবি ও লেখক ইব্রাহিম রেজা, সমাজ কর্মী কবি মাহমুদা বেগম বিউটি, কবি তৃষা চামেলি, চারণ কবি বাবুল আহম্মেদ তরফদার, গাজী আবুবকর সিদ্দিকী, মলয় বিশ্বাস, আল মামুন পারভেজ, হোসাইন নজরুল হক, মহিত কুমার মণ্ডল, অপু দেবনাথ, নজর উদ্দিন সানা, শহিদুল ইসলাম, আবু রায়হান, রকি মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, রামকৃষ্ণ সরকার, আতিয়ার রহমান, মকবুল মাহবুব, মামুন আজাদ, মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ভারতসহ পাশের জেলা, উপজেলা থেকে উপস্থিত হয়েছেন অসংখ্য কবি-লেখক, বিভিন্ন পেশার সুধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার কবিদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
Leave a Reply