কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি যশোরের কেশবপুরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে হয় ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোঁটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘন্টায় ৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৯৪ জন। এখানে ভোট দিতে আসা উপজেলার ভোগতী এলাকার শফিউদ্দিন মোড়ল (৭০) বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার সময় বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় ওখানকার স্যাররা (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বুঝিয়ে দেন। পরে কোন অসুবিধা হয়নি।
কেশবপুর সাহাপাড়ার অলোক সাহা (৫৮) বলেন, ভোট দিতে কোন অসুবিধা হয়নি। ভালোভাবেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম হলো সময় উপযোগী পদ্ধতি। খুবই অল্প সময়ের ভেতর ভোট দেওয়া যায়। এই ভোটে এদিক-ওদিক করার কোন সুযোগ নেই।
বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শনকালে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসাররা জানান, কেশবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৭৪ জন। কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২১০ জন ভোটার ভোট দেন। ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮৭ জন। মাগুরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৭৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার দুই হাজার ১৪২ জন। নতুন মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৮০ জন ভোটার ভোট দেন। ওই কেন্দ্রে দুই হাজার ২৪৮ জন ভোটার।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন ৯৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৭০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এক হাজার ৩৪০ জন পোলিং অফিসার’।
Leave a Reply