1. admin@dainikkhoborchitra.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়নে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। PHD- ডিগ্রী অর্জন করায় জমিয়াতুল মুদারেছীনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক পেলেন প্রভাষক ডক্টর মোঃ হাদীউজ্জামান সোহাগ কেশবপুরে তেঘরী স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত যশোর জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে বাঘারপাড়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ঢাকায় ট্রাফিক আইনে একদিনে ১২৬৩ মামলা কেশবপুরে পৌর ছাত্রদল নেতা খায়রুল ইসলাম বাবুর পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন চলছে সেচ কমছে না পানি ক্রমে বাড়ছে পানি। ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেশবপুরে বিএনপি নেতা শহীদ আবু বকর আবু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী

জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার আইন

দৈনিক খবরচিত্র ডেস্ক
  • সময় : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯৯ বার পঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন:

রেজাউল করিম (জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার,জেলা তথ্য অফিস যশোর)
পারবেন। আপীল আবেদন প্রাপ্তির পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আপীল কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করবেন অথবা গ্রহণ যোগ্য না হলে আপীল আবেদনটি খারিজ করে দিবেন। আপীল কর্তৃপক্ষের আদেশে আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ হলে ধারা ২৫ অনুসারে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তথ্য কমিশন অভিযোগটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে শুনানির সুযোগ দিয়ে ৪৫ (পাঁচ চল্লিশ) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সাক্ষীর জবানবন্দির গ্রহণ এবং তদন্ত সম্পাদন করার কারণে অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা বর্ধিত করা যেতে পারে। তবে বর্ধিত সময়সহ মোট সময় কোনক্রমেই ৭৫ (পঁচাত্তর) দিনের অধিক হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জরিমানা করাসহ বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রদান করতে পারবেন।

ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে প্রতিকার: তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ১৩ (ঙ) অনুসারে বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ধারা ২৭ (ঘ) ও (ঙ) অনুযায়ী তথ্য কমিশন জরিমানা ছাড়াও ধারা ২৭ (৩) বলে অসদাচারণ গণ্য করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ প্রদান করতে পারে।

২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হলেও প্রচারণা আর গণসচেতনতার অভাবে অধিকাংশ জনগণ অর্থাৎ যাদের তথ্য প্রাপ্তি সহজতর করার জন্য এ আইন প্রণীত হয়েছিল তারা এ আইন সম্পর্কে সার্বিকভাবে জ্ঞাত নয়। এমন কি যাদের জন্য তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তারাও বহুলাংশে এ আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। তাছাড়া যারা এ আইনের আওতায় তথ্য পেতে আগ্রহী তারা অনেক সময় তথ্য চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে এ আইনের সুফল ভোগ থেকে জনগণ বঞ্চিত হয়। ফলশ্রুতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হয়ে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যসহ যেসকল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সরকার তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রণয়ন করেছিল তা বহুলাংশে ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়েছে।

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কার্যকর প্রয়োগের জন্য এ আইনের বিধানাবলী সম্পর্কে জনঅবহিতকরণ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, সমন্বিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে তথ্য অধিকার সহায়ক মনোভাবাপন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে তৃনমূল পর্যায়ের আপামর জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কার্যকর প্রয়োগ ও সুফল পাওয়া সম্ভব।

লেখক : সিনিয়র তথ্য অফিসার
জেলা তথ্য অফিস, যশোর।


সংবাদটি শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর