পাঁজিয়ায় কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে প্রকৃতি রঙিন
রনি হোসেন, কেশবপুর
বাঙালির কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনোক্রমে টিকে আছে গ্রামের পথে-প্রান্তরে। তেমনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার লাল প্রকৃতি। পাঁজিয়া বাজারে আসলেই চোখে পড়বে এই লাল টুকটুক কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দেখে যেনো চোখ ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই। কেউ কেউ মোবাইলে সেলফি তুলে ধারণ করে রাখছে স্মৃতি হিসেবে। বছরের অন্য সময় গাছগুলো চোখে খুব একটা পড়ে না। এপ্রিলে প্রকৃতির সবুজ পেছনে ফেলে মানুষের দৃষ্টিতে আসে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই ফুল। তখন আর খুঁজে নিতে হয় না। পাঁজিয়া বাজারে পথচারীদের সহজেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়ার লাল টুকটুকে ফুলের দিকে। বহুদূর থেকে দেখলে মনে হয় ওই দূরে আগুন লেগেছে। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুলে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। পাঁজিয়াই এই কৃষ্ণচূড়ার ফুল দেখা যায় মে থেকে জুন পর্যন্ত। প্রথম মুকুল ধরার কিছুদিনের মধ্যেই পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট হলো উজ্জ্বল রং। তরুরাজ্যে এত উজ্জ্বল রং সত্যি দুর্লভ। ফুলের পাপড়ির রং গাঢ় লাল, লাল, কমলা, হলুদ, হালকা হলুদ হয়ে থাকে। ফুলের ভেতরের অংশও রক্তিম। কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়িযুক্ত। কৃষ্ণচূড়ার ফুলের বর্ণনা লেখায় দেওয়া সম্ভব নয়। সত্যিকার সৌন্দর্য কৃষ্ণচূড়ার ফুলের কাছে গেলে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করা সম্ভব। পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, কলেজ শেষ করে সোজা চলে আসলাম কৃষ্ণচূড়ার ফুল দেখতে, বন্ধুরা মিলে সেলফি ও তুলেছি। সত্যিই কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
Leave a Reply