আবু জার গিফারী কেশবপুর যশোর থেকেঃ অপরাহ্ন ব্যাপক চাহিদায় ভাগ্য ফিরেছে নারী পুরুষের শিশু গাছের ভাইরাস পোকা তো নয় যেন টাকা কামানোর মেশিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পোকার সন্ধ্যানে গাছে গাছে নারী পুরুষ মিলে সন্ধান করছে। রীতিমত সব কর্ম ত্যাগ করে শিশু গাছের ভাইরাস পোকার সন্ধানে নেমে পড়েছে কেশবপুর উপজেলার বেতীখোলা গ্রাম তথা সুফলাকাটী ইউনিয়ন এর বাসিন্দারা। প্রথমে একজন ব্যবসা শুরু করলেও এখন এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনের মত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার গাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে শিশু গাছের ভাইরাস পোকা। ডাল থেকে পোকা ছাড়ায়ি সেটা মাহাজনের নিকট বিক্রি করছে যার কেজি প্রতি দেওয়া হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। আর ডাল থেকে ভাইরাস পোকা ছাড়ানোর কাজ করছেন নারীরা। যার ফলে ভাগ্য ফিরেছে নারী পুরুষের। উদ্বেগ জেগেছে এলাকাবাসীর মাঝে। সবার একটাই কথা এগুলো যাচ্ছে কোথায়। এদিকে, নারীরা সারাদিন ধরে গাছের ডাল থেকে ভাইরাস পোকা ছাড়িয়ে দিচ্ছেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে ভাইরাস পোকা খুচরা কেনা হচ্ছে কেজি দরে ৩৫০ থেকে ৪০০ শ টাকা। এরপর সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ শত টাকা বিক্রয় হচ্ছে। ইতিমধ্যে শিশু গাছের ভাইরাস পোকা বিক্রি করে লভ্যাংশ দিয়ে অনেক কাজে লাগাচ্ছে এলাকাবাসী । এছাড়াও ভাগ্য বদলে যাচ্ছে অনেকের। এটা দেখে এলাকার অনেকেই এই ভাইরাস পোকার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু পাইকারি বাজার খুঁজতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। কোথায় পাইকারি বাজার ও বিক্রি হচ্ছে কেউ স্বীকার করছে না। ভাইরাস পোকা ব্যবসায়ী ডা:- অনুপ রায়। এর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে, তিনি পত্রিকাকে বলেন আমি ক্রয় করে মাহজনদের কাছে দিচ্ছি , আমিও জানিনা এটা কোথায় যাচ্ছে আর কি হচ্ছে এটা দিয়ে । এছাড়াও আফজাল হোসেন এই ব্যবসায় প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তবে কেউ স্বীকার করছে না কোথায় যাচ্ছে ভাইরাস পোকা। এলাকাবাসী বলছে, যারা মূলত জানে তারাই গোপনে এগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছে বাজারে। এতে করে অনেকেই আবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বর্তমানে সাথক্ষিরা ও তালা উপজেলায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ভাইরাস পোকা। কিন্তু এই ভাইরাস পোকা দিয়ে কি হচ্ছে তা কেউ জানে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আবু হুরাইরা রাসেল
নির্বাহী সম্পাদক অহিদুজ্জামান বিশ্বাস
বার্তা সম্পাদক সাকিবুল হাসান আপন
Copyright © 2024 দৈনিক খবরচিত্র. All rights reserved.