রনি হোসেন, কেশবপুর
মধুকবির ভক্ত- অনুরাগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষের পদচারণায় প্রথমদিন থেকেই জমে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত’র ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে কপোতাক্ষ নদের তীরে বুধবার এ মেলা শুরু হয়।
তবে মেলার প্রস্তুতি ছিল আরো আগে থেকেই প্রথম দিনেই টইটম্বুর হয় কপোতাক্ষের তীর ঘেঁষা মধুকবির পৈত্রিক বাড়ি, স্কুল মাঠসহ আশপাশের এলাকা। বসেছে কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি রকমের মিষ্টি। এর মধ্যে আছে বালিশ মিষ্টি, জিলাপি, রসমুন্ডি, গজা, মুড়কি আছে ভাজাভুজি, চটপটি, সনপাপড়ি, নুডলস, ভাপাপিঠা, তন্দুরী পাওয়া যাচ্ছে কসমেটিক্স পণের সম্ভার। বিকিকিনি হচ্ছে গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র। দর্শনার্থীরা কেনাকাটার পাশাপাশি যাত্রা, সার্কাস, যাদু দেখে এবং নাগরদোলায় চড়ে সময় কাটাচ্ছেন। প্রথম বারের মতো মেলায় এসে সাতক্ষীরার নাজমুল ইসলাম ও তার বন্ধুরা ঘুরছেন মেলা প্রাঙ্গণে। তিনি বলেন, মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগছে। মেলার মাঠ ও কবির জন্মগৃহ ঘুরে দেখছেন তারা।
যশোর থেকে মৌসুমি বিশ্বাস পরিবার নিয়ে মধুমেলায় ঘুরতে এসেছেন । তিনি বলেন,সবার জন্য কেনাকাটা করছি ও মেলা ঘুরে ভালো লাগছে।
মিষ্টির দোকানদার শাহাজান হোসেন বলেন, আমি আজ ৩০ বছর ধরে মেলায় এসে মিষ্টি বিক্রি করছি। এ বারের মেলায় নতুন নতুন মিষ্টি আনা হয়েছে। এসব মিষ্টির মধ্যে রয়েছে বালিশ মিষ্টি যার একটার ওজন এক কেজি, দাম তিনশো টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা থেকে এসেছেন কসমেটিক্স বিক্রেতা মামুন হোসেন, তিনি জানান আমি ৬ বছর ধরে মেলায় আসছি। প্রথম দিন থেকেই বিক্রি হচ্ছে ভালো। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় ক্রেতারাও বেশ খুশি।
Leave a Reply