কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:-
কেশবপুর উপজেলার ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য চলছে সেচ কিন্তু কোনভাবে কমছে না পানি ক্রমে বাড়ছে পানি । শ্রীহরি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত ২৭ বিল। এ বিলে ৪০ হাজার বিঘার বেশি জমি রয়েছে। আশির দশক থেকে পলি জমে নদী ভরাট হওয়ার কারণে বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাদ্ধতা দূর করতে সরকার নদী খননসহ নানা প্রকল্প গ্রহণ করলেও কোনো সুফল আসেনি। ২৭ বিলের চারপাশে ছয়টি ইউনিয়নের ৬৮টি গ্রামে মানুষের বসবাস। এর মধ্যে কেশবপুরের মাদারডাঙ্গা, মনোহরনগর, বাগডাঙ্গা ও ডোঙ্গাঘাটা গ্রামের প্রায় ৭০০ পরিবার এখন পানিবন্দি। এ ছাড়া মনিরামপুর অংশেও অনেক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ প্রায় এক মাস পানিবন্দি। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির পানি বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর খাল দিয়ে নিস্কাশিত হতে না পেরে খাল উপচে মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভবদহ থেকে খর্ণিয়া পর্যন্ত নদী খনন করে গভীর না করলে এ সমস্যা থেকে যাবে। দ্রুত যদি নদী খনন না হয় তাহলে সমস্যা আরো বাড়বে।
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় মানুষ আছে বড় ভুগান্তিতে কেশবপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটা গ্রামেই ঘর বাড়িতে পানি ছুই ছুই অবস্থা প্রায় বাড়িতে হাটু পানি। কেশবপুর টু কলাগাছি মেইন রোডে উঠেছে পানি এতে করে ভুগান্তির স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ির ড্রাইভার ও
কেশবপুর সদরে গরুহাট থেকে শুরু করে আলতাপোল কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠ পুরাই পানি বদ্ধ। কেশবপুর সদর ইউনিয়ন এর প্রায় প্রতিটা গ্রামে উঠেছে পানি। কেশবপুর সদর ইউনিয়ন এর বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন আমাদের যাতায়াতের প্রধান সড়কের দুই পাশে ঘের হওয়ার কারনে প্রায় হাটু পানি উঠেছে যাওয়া আসার ঝামেলা তাছাড়া বাড়ির উঠানে পানি খুবই সমস্যার ভিতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন এর ও একই অবস্থা। পাঁজিয়া ইউনিয়ন এর পাথরঘাটা গ্রামের প্রায় বাড়ি পানি এর ভিতর পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর পত্রিকাকে বলেন
আমার উঠানে পানি এবং গোয়াল ঘরে পানি ছুই ছুই অবস্থা আমরা না হয়য় একভাবে থাকলাম কিন্তু গরু ছাগল রাখবো কোতায় বড়ই চিন্তায় আছি আশা আমাদের বিষয় টা ইউএনও স্যার দ্রুতদেখবেন।
বাগডাঙ্গা গ্রামের অবস্থা খুবই ভয়াবহ প্রায় প্রতিটা বাড়িতে পানি ঝামেলা পড়ছে অনেক লোক বাগডাঙ্গা গ্রামের সুদীপ হালদার বলেন আমাদের আজ পর্যন্ত বাসায় পানি উঠিনাই কিন্তু এবার পানি যে ভাবে দিন গেলেই বাড়ছে মনে হয় এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঘরের ভিতর পানি প্রবেশ করবে।
একই অবস্থা সুফলাকাটী ইউনিয়ন এর বেতীখোলা মোল্যাপাড়ায় প্রতিটা ঘরে পানি।
তাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ ঝামেলায় আছে অনেক
বেতীখোলা মাঝের পাড়া গ্রামে কিছু কিছু বাসায় পানি বেতীখোলা পূর্বপাড়া এখনো পানি উঠিনাই কোন বাড়ি কিন্তু পানি যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে উঠতে পারে প্রায় বাড়ি পানি বেতীখোলা নারায়ণ ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম পাটোয়ারী বলেন আমাদের পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান এস এম মনজুর রহমান মাস্টার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে পানি নিষ্কাশনের জন্য বিল খুবশিয়া ইতিমধ্য মোটরের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে
সকল ঘের মালিকরা একত্রিত হয়ে বুরুলিয়া গেট দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা করছে অনেক আগে থেকেই আশা করি খুব দ্রুতই পানি কমে যাবে।
চেয়ারম্যান মনজুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং আমাকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহায্য করা হচ্ছে যদি এভাবে কিছুদিন মোটর চলে এবং আমি প্রশাসন সহ জেলা প্রশাসকের সাপোর্ট পায় তাহলে হয়তো বা কিছু দিনের ভিতরেই পানি কম হবে।
এ বিষয়ে বেতীখোলা গ্রামের ওলিয়ার রহমান সরদার বলেন আশেপাশে যে অবস্থা দেখছি সারাদিকে শুধু পানি
লোকজনের অনেক বেহাল অবস্থা এমতাবস্থায় যদি পানি না কমানো যায় তাহলে আরো দুর্ভোগে পড়বে জনজীবন।
উপজেলার প্রায় সকল স্কুলেই এখন পানি দুর্ভোগে আছে স্কুল ছাত্র ছাত্রী শিক্ষকরা।
এটা যদি দ্রুত সমাধান না হয় তাহলে আরো দুর্ভোগে পড়বে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে লোকজন।
কেশবপুরের রাস্তার সাইড দিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে অনেক লোক তাদের ঘরে পুরো পানি উঠে গিয়েছে বসবাস করার পরিবেশ নাই। গরু ছাগল নিয়ে আছে বেশি বিপাকে।
প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষের দাবী দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে আমাদের এ ঝামেলা থেকে মুক্ত করা।
Leave a Reply