২৯১ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে দেশের বাড়ি কেশবপুর আসলো কুবির মামুন
রনি হোসেন, কেশবপুরঃ
ঈদের ছুটিতে ২৯১ কি.মি. সাইকেল চালিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়ি যশোরের কেশবপুরে আসেন কুবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। অতিক্রম করেছেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল। সময় লেগেছে প্রায় ৩১ ঘণ্টা। মামুন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
ছোটবেলা থেকেই সাইকেল চালিয়ে দূর পথ পাড়ি দেওয়ার শখ আবদুল্লাহ আল মামুনের। স্কুল জীবন থেকে সাইকেল চালান তিনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হয়ে উঠে সাইক্লিস্ট। এবার ২৯১ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
আলদুল্লাহ আল মামুন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯ ঘণ্টা ১৪ মিনিট সাইকেল চালিয়ে যশোরের কেশবপুরে নিজ বাড়িতে পৌঁছেছেন তিনি।
আলদুল্লাহ আল মামুন জানান, ছোট বেলা থেকে কলেজ পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে স্কুল কলেজে যেতো সে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকায় সেভাবে সাইকেলিং করা হয় না। এবার ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা থেকেই সাইকেলিং করা।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফটক থেকে যাত্রা শুরু করেন। মধ্যে কয়েকটি স্থানে যাত্রাবিরতি নিয়েছেন। ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়েছেন তিনি। ১০-২০ কিলোমিটার পরপর ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবারো সাইকেল চালাতে শুরু করেন। মোট ৩১ ঘণ্টা পর গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩টায় কেশবপুরের নিজ বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এরমধ্যে তিনি ১৯ ঘণ্টা ১৪ মিনিট সাইকেল চালান। বাকি সময়টাতে যাত্রাবিরতির পাশাপাশি বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
সাইকেলিং করার শখ তার এমনিতেই। পাশাপাশি ইদের ছুটিতে যানজট লেগেই থাকে সড়কে। যানজটের এমন দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেন মামুন। একাই সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বন্ধুদের সঙ্গে দেখাও করেছেন যাত্রা বিরতিতে।
এমন পরিকল্পনার বিষয়ে আল মামুন বলেন, সাইকেল রাইড করার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। এবারো রাইড করার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। পরিচিত অপরিচিত অনেক মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। তবে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবুও মনের জোরে আমি সফল হতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সুস্থ থাকলে, কখনো সময় পেলে, ক্রস কান্ট্রি রাইড দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, সাইকেলিং একজন মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারলে যেকারো সুস্থ দেহ সুস্থ মন থাকবে।
Leave a Reply